Ad Code

Responsive Advertisement

কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং!


টপিকসঃ 
  • সূচনা
  • Computer Science and Engineering Subject
  • বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে CSE এর অবস্থান
  • বাংলাদেশে CSE ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা
  • কিভাবে জানবেন আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে CSE পড়তে পারবেন?
  • CSE তে কাদের ভর্তি হওয়া উচিত?
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে CSE তে পড়াশুনা করতে কেমন খরচ পড়ে?
  • CSE তে পড়লেই কোডিং করা যাবে?
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে CSE কি কি পড়ানো হয়?
  • CSE তে পড়লেই চাকুরী নিশ্চিত করা যাবে?
  • CSE তে পড়লেই গুগলে চাকুরী পাওয়া যাবে?
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের CSE তে পড়ে ভালো কিছু করা সম্ভব?
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের CSE তে পড়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সকল সুযোগ পাওয়া যাবে?
  • কাদের জন্য CSE বিষয় একটা বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায়? 


সূচনাঃ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনেক অসাধারণ এবং অনেক আকর্ষণীয় একটি বিষয় হলেও অনেকের কাছে সাবজেক্টটি অনেকটা বিভীষিকার নাম।  বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয় অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কারন কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলে সব চাকুরীর বাজারে জায়গায় ভালো সুযোগ পাওয়া যায়, বেশ ভালো আয় করা সম্ভব হয়, সমাজে অনেক মর্যাদা তৈরি হয়, যেগুলো আসলেই সত্য। আমার নিজের কাছেই অনেক অসাধারণ একটি বিষয় বলেই মনে হয়েছিলো। কিন্ত বাস্তবতা অনেক জটিল অনেক কঠিন। অনেকেই এই বিষয় নিয়ে ফাঁদে পড়ে। এর অনেক কারন আছে। আমরা সেসব আস্তে আস্তে বলব। তবে নেতিবাচক ধারনার সাথে সাথে এও মনে রাখতে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল আসলেই অসাধারণ বিষয় যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং কোডিং করেন! 

Computer Science and Engineering: HSC তে অনেকেই ভালো রেজাল্ট করে বা মোটামুটি রেজাল্ট করে বর্তমানে কম্পিউটার প্রকৌশল পড়তে চান যার ইংরেজী হলো "Computer Science and Engineering - CSE"। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র "Computer Science" বা Computing & Information System (CIS) বা Software Engineering (SWE) ইত্যাদি নামেও পরিচিত। বর্তমানে অবশ্য কম্পিউটারে সাথে অন্যান্য মেজর বিষয় যুক্ত করে অনেক মিক্সিং সাবজেক্টও তৈরি করা হয়েছে যেমনঃ Electronic and Communication system (ECE) ইত্যাদি। এসব অন্যান্য বিষয়ে সাথে কম্পিউটার মৌলিক বিষয়েও শেখানো হয়। 

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে CSE এর অবস্থানঃ উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে বাংলাদেশে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৫৩ টি। এর মধ্যে কমবেশি ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিষয়ে আছে। কাগজ কলমে বাংলাদেশে সর্বমোট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৯৭ টি। যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মানেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (অনেক ক্ষেত্রেই) সেক্ষেত্রে এখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল সাবজেক্ট থাকবে না সেটা অস্বাভাবিক, এবং আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বা Computer Science and Engineering CSE বিষয় আছে এর সাথে আছে বিভিন্ন কারিগরি ইন্সটিটিউট এবং কলেজসমূহ। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট কম্পিউটার সায়েন্স আছে এমন কলেজের সংখ্যা প্রায় ৩৩ টি। যার মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার আশে পাশে আছে ২৫ টি কলেজ এবং অন্যান্য জেলায় আছে প্রায় ৮ টি কলেজ। 

বাংলাদেশের সম্মান বিভাগে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিরিয়ালে প্রথমেই আছে বুয়েট, তারপর অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তারপর সিরিয়ালে আছে সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। সিরিয়ালগুলো আসলে এভাবে বলা উচিত না এবং অনেক সময় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশুনার মান অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশুনার মানের চেয়ে এগিয়ে থাকে। 

বাংলাদেশে CSE ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাঃ প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে HSC পাশ করা ছাত্র ছাত্রীরা CSE গ্রাজুয়েশন করার জন্য ভর্তি হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলাদেশে CSE ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাটা নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। যেহেতু বর্তমানে টেকনোলজি খুবই জনপ্রিয় একটা টপিক তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও এর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতে কম্পিউটার বিজ্ঞান বর্তমানে অসম্ভব জনপ্রিয় একটা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যার ফলে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাটা প্রায় ৩৫-৪০ হাজারের কম হবে না।

কিভাবে জানবেন আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে CSE পড়তে পারবেনঃ বর্তমানে SSC এবং HSC তে আপনার যদি মোটামুটি ভালো GPA থাকে তাহলেই আপনি CSE পড়তে পারার আশা করতেই পারেন। তারপরেও সাধারণত ধরা হয় যে আপনার GPA যদি SSC এবং HSC তে মিনিমাম GPA ৩.৫০ থাকে তাহলে আপনি মোটামুটি নিজেকে যোগ্য হিসেবে রাখতে পারেন। যদি GPA ৪ থেকে ৪.৫০ থাকে মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনি CSE পড়তে পারার জন্য যেকোন কলেজে নিজেকে ভর্তি করাতে পারবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ